খুলনার নতুনবাজার চর এলাকায় নির্যাতিত শিশুটির জবানবন্দি নিয়েছে আদালত। এর আগে ওই শিশু কন্যাটির মা বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামুনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দুপুরে আসামি মামুনকে কারাগারে পাঠান আদালত।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনে শিকার হওয়া ওই শিশুটি খুলনা থানাধীন কয়লাঘাট কাগজীবাড়ি রোডস্থ একটি স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মামুন এবং শিশুটি নতুন বাজার মোশারফ গলির বাসিন্দা ও পাশাপাশি বসবাস করে। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটের দিকে মামুন ওই শিশুটিকে দোকান থেকে চা এবং রুটি ক্রয় করতে বলে। তার কথা অনুযায়ী শিশুটি দোকান থেকে চা-রুটি নিয়ে মামুনের বাসায় নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পর কোথাও খুজে না পেয়ে ওই শিশুটির মা খুজতে মামুনের বাসায় আসে। জানতে চাইলে সে কোন উত্তর না করেই শিশুটির মায়ের সাথে মারমুখী আচারণ করে। একপর্যায়ে মামুনের শয়নকক্ষে রাখ চালের ড্রাম থেকে শিশুটি মা বলে ডাকতে থাকে এবং চালের ড্রামের মধ্যে থেকে শিশুটিকে উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসা দেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ্য হলে মায়ের কাছে বলে মামুন বুধবার সন্ধ্যায় কৌশলে শয়ন কক্ষে ডেকে নেয়। এরপর বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সে। পরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে মামুন। শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে কৃতকর্ম গোপন করার জন্য মামুন তাকে শয়নকক্ষের মধ্যে রাখা চালের ড্রামের মধ্যে আটকে রাখে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামুনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
খুলনা থানার এস আই শহিদ বলেন, রাতে নির্যতনকারী মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, যার নং ২৩। ধর্ষণের আলামত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি কতৃপক্ষ সবকিছু সংগ্রহ করেছে। তবে ডিএনএ রির্পোটে সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। কন্যা শিশুটি দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ৩ এর বিচারক সুমাইয়া কাওসারের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। পরে আসামি মামুনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
খুলনা গেজেট/সাগর/এএজে